Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped



আমাদের অর্জন

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, নওগাঁ এর কার্যক্রম ও প্রধান অর্জনসমূহ


গৃহীত ও বাস্তবায়িত কার্যক্রমসমূহ:

২০২০-২০২১ অর্থবছরের ২৫ অক্টোবর, ২০২০খ্রি: তারিখে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, নওগাঁ এর যাত্রা শুরু হয়। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নওগাঁ জেলায় নিরাপদ খাদ্য অফিসার ২৫-১০-২০২০খ্রি: তারিখে যোগদান করেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, নওগাঁ এর চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় আমানা গ্রীন সিটি এলাকায় জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম চলমান আছে। মুজিবর্ষে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্যের নিরাপদতা শীর্ষক ১০টি সেমিনার, ১টি ক্যারাভান রোড শো ও জেলা পর্যায়ে ২টি সভা/সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ৪র্থ জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাবলিক মিটিং, ভিডিও প্রদর্শন, মাইকিং, ৫২৩০ টি পোস্টার বিতরণ/সাঁটানো, ১১৫৮০ টি লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, নওগাঁ হতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৫০ জন খাদ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, ০১ টি উঠান বৈঠক, খাদ্য পণ্যের গুণগতমান ও নিরাপদতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ১০টি খাদ্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ।


২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ টি সেমিনার/কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে এবং বিতরণকৃত পোস্টরের সংখ্যা ১৩০০০, বিতরণকৃত লিফলেটের সংখ্যা ১২৬৪০। জেলাব্যাপি নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অবহিতকরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে ১টি সেমিনার, ২টি স্কুল সেমিনার, ০৯দিন ব্যাপি মাইকিং কর্মসূচি, ১২০ জন খাদ্য কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, গৃহিনীদের নিয়ে ২টি উঠান বৈঠক, খাদ্য স্থাপনায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১২৮ টি খাদ্য স্থাপনায় মনিটরিং ও পরিদর্শন, খাদ্যে ভেজাল রোধকল্পে ১০ টি নমুনা পরীক্ষণ। ৫ম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিল বোর্ড, ফেস্টুন, ড্রপ ডাউন ব্যানার, পতাকা ইত্যাদি সাজসজ্জার আলোকে সাজানো হয়। এছাড়াও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনগণের অভিযোগ ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য হটলাইন সেবা ৩৩৩ এ প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, নওগাঁ কর্তৃক সম্পাদিত কার্যক্রমের আর্থ-সামাজিক প্রভাবঃ

জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার ফলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত শুধু বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একার দায়িত্ব নয়, সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করতে এমন পজিটিভ দায়িত্বশীলতার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকদের সাথে মাসিক সমন্বয় সভার ফলে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অধিক ভূমিকা পালনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে যা তাদের সক্রিয় কর্মক্ষেত্র তৈরি করেছে। খাদ্য ব্যবসায়ীদের সাথে মিথস্ক্রিয়ার দরুন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে পরিদর্শকদের ভূমিকা হোটেল-রেস্টুরেন্টের ট্রেডিশনাল অবস্থা থেকে আধুনিক অবস্থায় উন্নীত করছে । খাদ্য স্থাপনা বারংবার মনিটরিং করার ফলে প্রতিটি হোটেল-রেস্তোরাঁয় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পূর্বের অবস্থার চেয়েও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে যা আর্থ-সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে । খাদ্য বিপত্তি, অব্যবস্হাপনা, খাদ্য বাহিত রোগ, খাদ্য দূষণ ইত্যাদি সম্পর্কে ভোক্তা ও খাদ্য ব্যবসায়ীদের সম্যক ধারণা খাদ্য স্হাপনার পরিবেশ উন্নত করতে বাধ্য করেছে। ভেজাল রোধে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মনিটরিং পরিচালনার ফলে খাদ্য ব্যবসায়ীদের মাঝে অব্যবস্হাপনা দূরীকরণের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। জেলা কার্যালয়, নওগাঁ কর্তৃক খাদ্য স্হাপনা হতে ঝুঁকিভিত্তিক নমুনা প্রেরণের ফলে খাদ্য ব্যবসায়ীরা ভেজাল রোধে সচেষ্ট হচ্ছে। সর্বোপরি, ভেজাল রোধে ও নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির মাধ্যমে পুষ্টির স্তর উন্নয়নে জেলা পর্যায়ে কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমে ভোক্তাশ্রেণির আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।  


এছাড়াও

  •  নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • খাদ্য স্থাপনাগুলোর পরিবেশের মানোন্নয়ন হয়েছে।
  • খাদ্যকর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • জেলার অধিকাংশ খাদ্য স্থাপনাগুলোর খাদ্যকর্মীদের ইউনিফর্মের আওতায় আনা হয়েছে।
  • তিনটি খাদ্য স্থাপনাকে (হোটেল-রেস্টুরেন্ট) আদর্শ হিসেবে গ্রেডিং এর আওতায় আনা হচ্ছে।
  • Good Agricultural Practice (GAP), Good Manufacturing Practice (GMP), Standard Operating Produre (SOP) প্রতিপালন করে কৃষি, মৎস্য ও অন্যান্য খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করেছে।
  • প্রায় ১০০ জন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে।
  • ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ Indigenous Food/ Traditional Food তৈরি করে অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে গড়ে উঠছে।
  • খাদ্য স্থাপনাসহ সর্বত্র খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে।

ফলস্বরূপ, নওগাঁ জেলায় দিন দিন পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে এবং আশা করা যায় যে, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের ফলে নিকট ভবিষ্যতে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।